Monday, September 1, 2014

বর্তমানে তারুণ্যের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে রেডিও জকি

বর্তমানে তারুণ্যের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে রেডিও জকি। অনেক বন্ধুর সঙ্গে যেমন একদিন দেখা বা কথা না হলে খারাপ লাগে, তেমনি পছন্দের কোনো রেডিও জকির অনুষ্ঠান একদিন না শুনলেও মনটা খুঁতখুঁত করে অনেকেরই। এমন জনপ্রিয় একজন রেডিও জকি হয়ে তাইগড়ে তুলতে পারেন আপনার ক্যারিয়ারও। রেডিও জকিতে ক্যারিয়ার গঠন নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।

নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি সময় কেটে যায় ট্রাফিক জ্যামে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা যেন এক অমোঘ নিয়তি। দীর্ঘ সময়ের এই ট্রাফিক জ্যামে বসে বসে বিরক্ত হওয়া থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে ভার্চুয়াল কিছু বন্ধু। এফএম রেডিওগুলোতে এসব বন্ধুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কথার মাধুর্যে মুগ্ধ করে রাখে বিভিন্ন বয়সী মানুষকে। তবে তরুণদের কাছেই এসব এফএম বন্ধুরা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে আসছে। কেবল কথাই নয়, পছন্দের গানও শুনিয়ে থাকেন এসব বন্ধুরা। কথা আর গানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাতিয়ে রাখা এসব বন্ধুরাই হলেন রেডিও জকি, সংক্ষেপে আরজে।
বাংলাদেশে রেডিও জকি’র ধারণাটি খুব বেশি পুরোনো নয়। কয়েকবছর আগেও আমাদের এখানে অনেকেই ধারণা করতে পারেনি আমাদের দেশেও রেডিও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত অবশ্য একমাত্র রেডিও চ্যানেল হিসেবে ‘বাংলাদেশ বেতার’ ধরে রেখেছিল বিপুল পরিমাণ শ্রোতা। পরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর আগমন রেডিওর এই রাজত্বকে খর্ব করে। বেসরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি স্যাটেলাইট চ্যানেলের আধিক্যও রেডিও থেকে নজর সরিয়ে দেয় মানুষের। একটা পর্যায়ে রেডিও’র শ্রোতাগোষ্ঠী বিলুপ্তির পথ ধরে। এর মধ্যেই যাত্রা শুরু করে ব্যক্তিমালাকানায় উন্নত বিশ্বের মানসম্পন্ন এফএম রেডিও স্টেশন। উন্নত অনুষ্ঠান এবং উপস্থাপনের ভিন্নতা দ্রুত শ্রোতাপ্রিয় করে তোলে এইসব রেডিও স্টেশন। বলতে গেলে রেডিও বিষয়টিও প্রাণ ফিরে প্রায়। ক্রমেই শ্রোতা বাড়তে থাকে রেডিও স্টেশনগুলোর। আর রেডিও স্টেশনগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়াতে যারা মূল ভূমিকা রাখে, তারাই হলো রেডিও জকি।
এফএম রেডিও স্টেশনে প্রাণ হিসেবে রেডিও জকিরা দর্শকদের নিকট তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সচেষ্ট এবং সক্ষম হয়েছে। শুধুমাত্র বৈচিত্র্যপূর্ণ উপস্থাপনা নয় বরং শ্রোতাদের সাথে একাত্ম হয়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের মাধ্যমে তারুণ্যের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে রেডিও জকিরা। টিভি-সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের মতো এখন অনেক তরুণের মুখে মুখেই পছন্দের রেডিও জকির নাম। সেই হিসেবে অন্যসব তারকাদের মতো সকলের সামনে দৃশ্যমান না হয়েও কেবল কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়েও তারকায় পরিণত হয়েছেন অনেক রেডিও জকিরাই। তাই একটা সময় যেমন তরুণদের মধ্যে নায়ক-নায়িকা হওয়ার তাড়না তৈরি হয়েছে, তেমন এখন রেডিও জকি হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার অদম্য ইচ্ছাও তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই।
রেডিও জকি কথাটি বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত হলেও কিছুদিন আগেও এই পেশাটি সমন্ধে আমাদের দেশে খুব বেশি মানুষের ধারণা ছিল না। ভালো একজন রেডিও জকি তৈরিতে তেমন কোনো কর্মকাণ্ডও দেখা যায়নি কিছুদিন আগেও। তবে সময়ের সাথে সাথে তরুণদের আগ্রহ যেমন বেড়েছে এই পেশায়, তেমনি রেডিও জকি হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার মতো নানা ধরনের কর্মকাণ্ডও শুরু হয়েছে।
শিক্ষাগত ও বাড়তি যোগ্যতা
বাংলাদেশে মূলত বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত এফএম রেডিও স্টেশনে রেডিও জকিদের কাজের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত নতুন এই পেশাতে যোগ্যতা হিসেবে বিভিন্ন রেডিও স্টেশন অনুসারে স্নাতক পাশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে যোগ্যতাসম্পন্ন স্নাতক অধ্যায়নরতরাও এই পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে একটি কথা মাথায় রাখা প্রয়োজন, শিক্ষাগত যোগ্যতা এই পেশায় মূল নয়। বরং এই পেশায় সফল হওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বাইরের অনেক বিষয়েই নজর দিতে হবে।
পরিষ্কার ও স্পষ্ট উচ্চারণ, উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার, জড়তাহীনভাবে কথা বলার ক্ষমতা, যেকোনো প্রশ্নের উত্তর উপস্থিত বুদ্ধি সহকারে দ্রুত দিতে পারা, মিউজিক্যাল সেন্স, সেন্স অব হিউমার, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কথা বলা, সৃজনশীলতা প্রভৃতি গুণাবলী থাকা অত্যন্ত জরুরি একজন রেডিও জকি হওয়ার জন্য। আর প্রয়োজন সমসাময়িক বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা। দেশ এবং দেশের বাইরের খবরগুলোতে নিয়মিত তাই নজর রাখা দরকার। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পেশা হিসেবে নতুনরূপে পরিচিত এই রেডিও জকিদের নিজস্বতা এবং শ্রোতাদের আকৃষ্ট করণের লক্ষ্যে স্বাতন্ত্র্য জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। আসলে একজন রেডিও জকিকে তার শ্রোতাবন্ধুদের মুগ্ধ করতে হয় কেবল কথার মাধ্যমেই। কাজেই নানা ধরনের মানুষকে লক্ষ্য রেখেই কথা বলতে হয় রেডিও জকিকে। বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলার সেই ধরণটা অর্জন করতে হয় এই পেশার জন্য। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, একজন রেডিও জকিই কিন্তু তার প্রোগ্রামকে জনপ্রিয় করবে। এর পুরো দায়টাই তার একারই বহন করতে হয়।
প্রশিক্ষণ
কিছুদিন আগে পর্যন্তও রেডিও জকি হতে হলে নিজ উদ্যোগের কোনো বিকল্প ছিল না। একমাত্র নিজেদের প্রচেষ্টাতেই রেডিও জকি হতে হতো। তবে সময়ের সাথে সাথে এই পেশার প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহের কারণে বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ সংস্থা তৈরি হয়ে গেছে। এর মধ্যে মানসম্মত প্রশিক্ষণও প্রদান করে আসছে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। তবে একটি কথা মনে রাখা ভালো, আপনার যদি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে এবং যেকোনো বিষয়কে আপনি যদি সকলের নিকট সঠিক শব্দচয়নের মাধমে উপস্থাপন করার যোগ্যতা রাখেন, তবে আপনি সরাসরি যেকোনো রেডিও স্টেশনে যোগাযোগ করতে পারেন রেডিও জকি হিসেবে কাজ করার জন্য। আপনার স্বাতন্ত্র্য এবং উপস্থাপনের কৌশলই আপনাকে এই পেশাতে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম।
আয়-রোজগার
বাংলাদেশে এই পেশাটি তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও এই পেশায় ভালো করার বেশ সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন রেডিও স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে একজন রেডিও জকি পার্টটাইম এবং ফুল টাইম—দুইভাবেই কাজ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ সময়সীমা ব্যতীত তাদেরকে সুনির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ করে যেতে হয়। পার্টটাইম হিসেবে একজন আরজেকে তিন ঘণ্টা অনুষ্ঠান পরিচালনা করার লক্ষে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা অফিস করতে হয়। আর ফুল টাইমের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ৮ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। শুরুর দিকে রেডিও জকিদের বেতন হয়ে থাকে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এ ক্ষেত্রে আরজেদের দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তা ভূমিকা রাখে। আর সময়ের সাথে সাথে বেতনও বাড়তে থাকে।
যোগাযোগের উপায়








রেডিও জকি-১আপনি যদি নিজেকে ভবিষ্যতে জনপ্রিয় আরজে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে আপনি এই পেশার জন্য কতটা নিজেকে যোগ্য বলে মনে করেন। সেই সাথে আপনার যদি উচ্চারণে স্পষ্টতা এবং যেকোনো বিষয়ে কথা চালিয়ে নেওয়ার যোগ্যতা থাকে, তবে আপনি এই পেশাতে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। বাংলাদেশে বেসরকারি রেডিও স্টেশনসমূহে সরাসরি যোগাযোগ করে অথবা ডাকযোগে আপনার জীবনবৃত্তান্ত এবং নিজের আগ্রহ এবং দক্ষতা বর্ণনা করে একটি আবেদনপত্র পাঠিয়ে রাখতে পারেন। আপনার যোগ্যতা এবং আগ্রহ এই পেশাতে আপনাকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে রেডিও স্টেশনসমূহকে সহায়তা করবে। এ ছাড়া রেডিও স্টেশনগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিজ্ঞাপনও দিয়ে থাকে। সেগুলোর দিকেও নজর রাখতে হবে। বিজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করলে এরপর কেবল স্টেশনগুলোর পক্ষ থেকে ডাকের অপেক্ষা।
সময়ের সাথে সাথে যেভাবে রেডিও স্টেশনের সংখ্যা বাড়ছে এবং রেডিও জকিদের চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তাতে করে এই পেশাতে আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতা আপনাকে ভালো একটি ক্যারিয়ারের দিকে ধাবিত করতে পারে।##

For more information stay with me on Facebook

.

Saturday, August 30, 2014

ভাইভা বা ইন্টারভিউ বোর্ডে সফলতার জন্য ইম্পরট্যান্ট কিছু টিপস ও ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যে প্রশ্ন করা হতে পারে... সেই রকম ৩০ টি প্রশ্নের মডেল

ভাইভা বা ইন্টারভিউ বোর্ডে সফলতার জন্য ইম্পরট্যান্ট কিছু টিপস ও ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যে প্রশ্ন করা হতে পারে... সেই রকম ৩০ টি প্রশ্নের মডেল ... 

নোটঃ --" যদি কোন বন্ধুর এত বড় পোস্ট পড়ার ধর্য্য না থাকে অথাবা ব্যস্ততার জন্য পড়তে না পারেন ... তাহলে শেয়ার করে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে পোস্টের লিংক সেইভ রাখুন সময় পেলে একটু একটু করে পড়ে নিবেন ...কারন এখানের কিছু কথা বা শিক্ষা আপনার লাইফে অবশ্যই কাজে লাগবে ...।"

একটি সফল ইন্টারভিউ হলো একজন চাকরি প্রার্থীর জীবনের সফলতার জন্য অপরিহার্য একটি অধ্যায়। তাই ভাইভা চলাকালীন সময় প্রার্থীকে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, যাতে ভাইভাটা সবদিক থেকে সাফল্য মন্ডিত হয়। নিজেকে যথা সম্ভব সংযত রেখে ধীরস্থির ভাবে প্রশ্নকর্তার উত্থাপিত সমস্যার সমাধান দিতে হবে। নিজেকে প্রকাশ করতে হবে সাবলীলভাবে। ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ, বসা, বেরোনো ও উত্তর দেয়ার সময় প্রার্থীর আচরন ও কথোপকথন দ্বারা নির্ধারিত হয় প্রার্থীর সফলতা বা ব্যর্থতা। নাটক বা যাত্রার শিল্পীরা মাসের পর মাস ধরে নাটক যাত্রার অনুশীলন করে শুধুমাত্র একদিন নাটক বা যাত্রাটি দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য। একজন চাকরি প্রার্থী হিসেবে নিয়োগকর্তার সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য আপনার প্রস্তুতি কতটা নিখুঁত বা কতটা পূর্ব প্রস্তুতিমূলক? এখানে ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো যা একজন চাকরি প্রার্থীর সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১• অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম
----------------------------------------
জানাতে হবে। পরীক্ষকগন বসতে বললে বসতে হবে এবং বসতে না বললে একটু অপেক্ষা করে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে। অনুমতি ব্যতিত বসা যাবে না। বসার সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানাতে হবে। সোজা হয়ে বসুন, পায়ের উপর পা তুলে অথবা পা দুটো আড়াআড়ি করে বসা যাবে না। হাত দুটো টেবিলের উপরে রাখা যাবে না। ভাইভা যারা নিবেন তাদের দিকে সোজাসুজি তাকান, মাটির দিকে বা ঘরের কোণ বা ছাদের দিকে তাকাবেন না।

২• নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন।
----------------------------------------
আত্নবিশ্বাসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন।

৩• একজন প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার
----------------------------------------
সময় অন্যদের দিকে তাকাতেও ভূলবেন না। অতি সুকৌশলে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং উত্তম গুনাবলী ও জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে পরীক্ষকগনকে ধারনা প্রদানের চেষ্টা করুন।

৪• মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন।
----------------------------------------
প্রথমবারে যদি প্রশ্নটি বুঝতে না পারেন তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আর একবার প্রশ্নটি করতে বলুন।

৫• উত্তর দেয়ার সময় প্রত্যেকটি শব্দ স্পষ্ট
----------------------------------------
করে এমনভাবে উচ্চারন করুন যেন সবাই শুনতে পায় এবং খেয়াল রাখুন উত্তরের সাথে যেন আপনার আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়। সময় নষ্ট না করে উত্তর দিন। জানা না থাকলে কালক্ষেপন না করে দ্রুত বলুন, দুঃখিত আমার জানা নেই। অগোছালো ভাবে এদিক সেদিক না ঘুরিয়ে যথাযথ উত্তর দিতে হবে। যুক্তির সাথে বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

৬•আচরনে কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে
----------------------------------------
না। গোমরা মুখে থাকবেন না। নিজেকে হাসি হাসি মুখ করে রাখুন। ভাইভা যারা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গে ভুলেও (যদি ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে) তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধ মত জানানোর আগে বিনয়ের সাথে বলবেন- মাফ করবেন বা কিছু মনে করবেন না বলে নিন। কর্কশভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়া বাঞ্চনীয় নয়। উঁচু গলায় প্রশ্ন এলেও উচু গলায় উত্তর দেয়া যাবে না। স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিন।

৭• মুদ্রাদোষ গুলো সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন
----------------------------------------
থাকুন। গোঁফে হাত বুলানো, চুল ঠিক করা, নাক চুলকানো, টাই ঠিক করা, গলা দিয়ে শব্দ করা বা জামা কাপড় ঠিক করবেন না। নিজে নিজে হ্যান্ডশেক করার জন্য আগে হাত বাড়াবেন না। নিয়োগকর্তাগন যদি করমর্দনের জন্য হাত বাড়ান তাহলে মোলায়েম ভাবে করর্মদন করুন।

৮• আবেগ তাড়িত হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে না।
----------------------------------------
উত্তর দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ব্যক্তি, সমষ্টি, জাতি, ধর্ম বা রাষ্ট্র সম্পর্কে কোন প্রকার অবমাননাকর বা অপ্রীতিকর কথা বেয়িয়ে না যায়।

৯• যে কোন বিষয়ে কোন অজুহাত না দেখিয়ে এবং কোন তথ্য সম্পর্কে ছলনার আশ্র্রয় না নিয়ে সততার পরিচয় দিন।

১০• নিজেকে উপস্থাপন করুন
----------------------------------------
আকর্ষণীয়ভাবে। যেমনটি কোন পণ্যের দক্ষ বিক্রেতা করে থাকেন।
যেমনঃ
- নিয়োগকর্তা কি কি গুণ আপনার মধ্যে খুঁজে পাবেন।
- গুন ও মূল্যগত দিক দিয়ে প্রার্থী হিসেবে আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা এবং আপনাকে নিলে নিয়োগকর্তা কিভাবে লাভবান হবেন।
- প্রতিষ্ঠানের উন্নতির জন্য আপনি কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেন।
- আপনার উল্লেখ করার মতো কোন সাফল্যের বিষয় থাকলে বিনয়ের সাথে বলুন।

পরিশেষে বিদায় নেবার সময় সবাইকে ধন্যবাদ দেয়ার পর, সালাম দিয়ে বিদায় নিন।

-------------------------------------০০----------------------------------------------
ভাইভা বোর্ডে আপনাকে যে প্রশ্ন করা হতে পারে
---------------------------------------০০--------------------------------------------
এক একটি পরীক্ষার ভাইভার ধরন এক এক রকম হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভাইভার প্রশ্ন এক রকম আবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির ভাইভা অন্যরকম। বিসিএস পরীক্ষার ভাইভা আবার সম্পূর্ন আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা,ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ,আর্মির আইএসএসবির ভাইভা এবং বিসিএস ভাইভা পরীক্ষার সহায়িকা গাইড বইগুলিতে নমুনা প্রশ্ন দেয়া আছে। এখানে শুধু কোম্পানি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেমন প্রশ্ন করা হয় তার কিছু নমুনা প্রশ্ন দেয়া হলো।(প্রশ্নগুলো নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত কোম্পানির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারগনের নিকট থেকে এবং আমেরিকার মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর উইলিয়াম জি•নিকেল্‌স এবং ফরেষ্ট পার্কের সেন্‌ট লুইস কমিউনিটি কলেজের প্রফেসর জেমস্‌ এম মেকহিউগ এবং সুসান এম ম্যাকহিউগ এর বই থেকে। এছাড়াও কিছু প্রশ্ন নেয়া হয়েছে আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জব প্লেসমেন্ট অফিসার ফ্র্যাঙ্ক এস এন্ডিকট এর রিসার্স পেপার থেকে)। পাঠকদের জানাচ্ছি যে,বর্তমান কর্পোরেট কালচারের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে এই প্রশ্নগুলো ইংরেজীতে দেয়া হলো যাতে নিয়োগ প্রার্থীরা নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে পারেন।

1.How would you describe yourself? Introduce yourself?

2. What are your hobbies?

3.How did you choose this company?

4.What are your long-range career goals?

5.What experience have you had in this type of work?

6.Which accomplishments have given you the most satisfaction?

7.Why did you decide to go to this particular discipline/field/subject /profession?

8.How did you spend your vacation while in university?

9.Are you willing to travel (or move)?

10.Why should we hire you?

11.What things are the most important to you in a job?

12.Who is your favorite person?

13.Tell us an interesting story/memorable event of your life?

14. In what type of position are you most interested?

15. Why do you think you might like to work for our Company?

16. What courses did you like best? Least? Why?

17. What do you know about our company?

18. What qualifications do you have that make you feel that you will be successful in your field?

19. What extracurricular offices have you held?

20. What are your ideas on salary? How much money do you hope to earn at age 30? 40?

21. How do you feel about your family?

22. Do you prefer any specific geographic location? Why?

23. What personal characteristics are necessary for success in your chosen Field?

24. What is your fatherÕs occupation?

25. Are you looking for a permanent or temporary job?

26. Do you prefer working with others or by yourself?

27. What kinds of boss do you prefer?

28. Can you take instructions without feeling upset?

29. How did previous employers treat you?

30. Can you get recommendations from previous employers?

31. Do you like routine work?

32. Are you willing to go where the company sends you?

33. What is your greatest strengths and weakness?

34. What jobs have you enjoyed the most? The least? Why?

35. Would you prefer a large or a small company? Why?

36. Are you interested in research?

37. To what extent do you smoke?

If you will take the time necessary to write out brief answers to each of the questions on above mentioned list, it will help you to clarify your own thinking and establish ready answers.

ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত 


যারা এই পেইজের প্রত্যেক পোস্ট নিয়মিত আপনার ফেসবুক ওয়ালে দেখতে পাচ্ছেন না ...
তারা কষ্ট আমাকে ফলো করে রাখুন ...


https://www.facebook.com/pages/Study-Corner/298685946965496?ref=hl

Tuesday, August 26, 2014

জীবন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে হকিংয়ের কিছু উক্তি

বর্তমান বিশ্বে জীবিত বিজ্ঞানীদের মধ্যে সেরা ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। তার সব গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও এর সম্প্রসারণ। কিন্তু যাপিত জীবন সম্পর্কেও তার রয়েছে তীক্ষ্ণ ধারণা।
জীবন সম্পর্কে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তার মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ কিছু উক্তি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষুরধার মেধার অধিকারী স্টিফেন হকিংকে মাত্র ২১ বছর বয়সে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি কিছু দিনের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। মোটোর নিউরন নামে স্নায়ুঘটিত এক ধরনের রোগে ভুগছিলেন তিনি।
এখন তার বয়স ৭২। প্রবীণ পদার্থবিদদের মধ্যে তিনি একজন। এখনো ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কৃষ্ণগহ্বর গবেষক। তার লেখা এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি বেস্ট-সেলার হয়।

জীবন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে হকিংয়ের কিছু উক্তি এখানে তুলে ধরা হলো :

১. প্রতিবন্ধীত্ব সম্পর্কে : অন্য প্রতিবন্ধীদের প্রতি আমার পরামর্শ, তোমার প্রতিবন্ধীত্ব তোমার ভালো কাজকে রুখতে পারবে না- এদিকেই মনঃসংযোগ করা এবং প্রতিবন্ধী হওয়ার জন্য অনুশোচনা না করা। অন্তর-শক্তিতে এমনকি শারীরিকভাবে কখনো প্রতিবন্ধী হোয়ো না।

২. প্রাধান্য সম্পর্কে : আমার লক্ষ্য খুব সাধারণ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া। কেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যেমন আছে তেমনই থাকছে এবং সর্বোপরি কেন এটি টিকে আছে।

জীবন ও বিজ্ঞান সম্পর্কে হকিংয়ের কিছু উক্তি

প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিভানুযায়ী বেড়ে ওঠতে দেয়া উচিত

প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিভানুযায়ী বেড়ে ওঠতে দেয়া উচিত। প্রতিভানুযায়ী মানুষ তার স্বপ্ন দেখলে আমার বিশ্বাস যে কোন মানুষ সফল হতে বাধ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমারা আমাদের স্বপ্ন ও ধ্যান-জ্ঞান সব বাবা মার স্বপ্ন পূরণের পেছনে দিয়ে বাকী সব ভাবনায় শূন্য হয়ে যাই।আর সারা জীবনের অন্যের একটা অধম্য স্বপ্নকে নিজের ভেতর জায়গা দিয়ে দিই , যা আমাদেরকে ডিফরেন্ট কিছু ভাবতে দেয় না। এভাবেই একটি প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমারা শুধু নিজেকেই বঞ্চিত করি না , করি দেশকেও ।
অধিকাংশ বাবা মা তার ছেলেকে আর্থিক সফল মানুষ হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু কেউ প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ হিসাবে দেখতে চাই না কারন সে তার ভবিষ্যতে আর্থিক কষ্টে থাকবে বলে। কিন্তু আমারা কেউ চিন্তা করি না সে মানসিক সন্তুষ্টিতে থাকবে কিনা? কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখেছেন কি আমারা আর্থিক সফল মানুষ গড়ে তোলার চিন্তায় আমাদের সন্তানকে পাঠ্য বইয়ে ডুবে থাকা আত্মকেন্দ্রিক আর ঘরকুনে আতেল করে ফেলছি না !!!

আসলে এই কথা গুলো বলেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিভা বিকশিত হবার জন্য.........
কারন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে তেমন বিখ্যাত কেউ সৃষ্টি হয় নি (লেখক ছাড়া )...
কারন একটাই আমারা কেউ কোন শিশুর প্রতিভা খোজার চেষ্টা করি না ...সবসময় চেষ্টা করি তাকে প্রথম হওয়ার প্রতিযোগিতায় লাগিয়ে দেওয়া ......।।
এই জন্য আমি না আমার মত তরুণ প্রজন্মের সবাই চাইবে আমাদের নিজেদের মত আর কোন প্রতিভা যেন নষ্ট না হয় ...
আমার শুধু একটাই স্বপ্ন প্রত্যেক ছেল-মেয়ে খেলবে, হাসবে, নিজের মত করে সিদ্ধান্ত নেবে। জানার জন্য পড়বে। পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার জন্য নয়। তবে চেষ্টা থাকবে প্রথম হওয়ার। তার মানে এই নয় যে তার জীবনের একমাত্র টার্গেট হবে ফার্স্ট হওয়া। সে যদি পারফেক্ট ওয়েতে যথাযথ ট্রাই করে তাতেই আমি খুশি। যদিও আমার খুশি অখুশি কারও কিছু যাবে আসবে না .........
আমার এই খুশি হওয়াটা যদি একজন পিতা - মাতার বিবেকেও নাড়া দেয় তাহলেই আমি সার্থক
সকল পিতামাতার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে , "আপনাদের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার বানিয়ে আপনার ছেলেকে মনন-প্রতিবন্ধী বানাবেন না ।

প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিভানুযায়ী বেড়ে ওঠতে দেয়া উচিত
https://www.facebook.com/pages/Study-Corner/298685946965496